জাফলং সীমান্ত দিয়ে পাচারকালে মটরশুঁটি জব্দ, ১২ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি

সিলেটের জাফলং সীমান্ত দিয়ে মটরশুঁটি চোরাচালানের বিরুদ্ধে সিলেটের গোয়ইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্সের অভিযান। সোমবার বিকেলে জাফলংয়ের সোনাটিল্লায়প্রথম আলো

সদ্য নির্মাণ করা টিনশেডের একটি ঘর। সেখানে রাতের বেলা মজুত করা হয় মটরশুঁটি। এগুলো ভারতে অবৈধভাবে পাচার করার প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন টাস্কফোর্সের অভিযান চালিয়ে মটরশুঁটি জব্দ করে নিলাম ডাকে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। মটরশুঁটি মজুত কাজে জড়িত একজনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের সোনাটিল্লার একটি ঘরে টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে এই মটরশুঁটি জব্দ করে। বিকেল চারটার দিকে গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম নুর হোসেনের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তামাবিল বিওপির কোম্পানি কমান্ডার কাজী আবদুল বাছেতের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল এবং গোয়াইনঘাট থানা ও জাফলং টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।

সিলেটের জাফলং সীমান্ত দিয়ে পাচারের জন্য এভাবেই টিনের ঘরে মজুত করা হয়েছিল মটরশুঁটি। সোমবার বিকেলে টাস্কফোর্সের অভিযানকালে জাফলংয়ের সোনাটিল্লায়
প্রথম আলো

সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম নুর হোসেন জানান, অবৈধভাবে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মটরশুঁটি এনে মজুত করা হয়েছিল। এগুলো জব্দ করে প্রকাশ্য নিলামে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। পরে অবৈধ মজুতের দায়ে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান শেষে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ভারত-বাংলাদেশে দামের তারতম্য থাকায় দেশীয় একটি চক্র মটরশুঁটির মজুত করছে। শীত মৌসুমে এ তৎপরতা বাড়ে। সীমান্তে চোরাচালান ঠেকাতে প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় লোকদেরও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।