জামালপুরে করোনা রোগী আড়াই হাজার ছাড়াল

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা সংক্রমণের পর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এক আইনজীবীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় ৪২ জন মারা গেছেন। আজ রোববার সকালে সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস এ তথ্য দিয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। গত বছরের ৮ মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওই আট মাসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসে জেলায় ২৯৩ জন আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শনাক্তের হার ছিল ১০ শতাংশ। গত ১ মে থেকে আজ ২০ জুন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫০৪। গত দেড় মাসে ৪৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪০ জন।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ জন ও সরিষাবাড়ীতে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

করোনায় আক্রান্তের এ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আক্রান্তের প্রথম আট মাস করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। কিন্তু পরের চার মাস, অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে শনাক্তের হার কম ছিল। তবে গত দেড় মাস, অর্থাৎ ১ মে থেকে আজ ২০ জুন পর্যন্ত ৪৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে বর্তমানে আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। জেলা প্রশাসনের দুই সপ্তাহের বিশেষ বিধিনিষেধের মধ্যেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

জামালপুরের সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস বলেন, ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। ঈদের আগে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী ছিল। হঠাৎ জেলার মধ্যে জামালপুর সদর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণের হার সদর উপজেলায় ঊর্ধ্বমুখী। পৌর শহরে বিশেষ বিধিনিষেধ চলছে। তারপরও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।