জামালপুরে নির্বাচন–পরবর্তী পৃথক সহিংসতায় ২০ জন আহত

জামালপুর জেলার মানচিত্র

জামালপুরে নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হামলা ও আরও কয়েকটি স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার বিকেল থেকে রাত ৯টার মধ্যে ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ও পলবান্ধা এবং মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নয়ানগর ইউপির পরাজিত সদস্য প্রার্থী সিরাজুল হকের ছেলে মো. শাকিলসহ (১৮) আহত পাঁচজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে বাহাদুরপুর গ্রামে পলবান্ধা ইউপির বিজয়ী সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও পরাজিত প্রার্থী এরশাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকেরা একে অপরের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এতে ২ নারীসহ ১০ জন আহত হন।

এদিকে গোয়ালেরচর ইউপির পরাজিত সদস্য প্রার্থী হাফেজ মিয়াকে ভোট না দেওয়ার অভিযোগে প্রার্থীর লোকজন এক ভোটারের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাত আটটার দিকে সবারচর গ্রামের ভোটার মোয়াজ্জেম মিয়ার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন।

মেলান্দহের নয়ানগর ইউপি সদস্য প্রার্থী সিরাজুল হকের সমর্থকদের ভাষ্য, গতকাল সন্ধ্যায় সিরাজুল হকের ছেলে শাকিলকে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থী আবদুল জলিলের সমর্থকেরা মারধর করেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইউনিয়নের সাধুপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের পাঁচজন আহত হন।

এদিকে পলবান্ধা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের কার্যালয়ে হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। বিস্তারিত জানতে মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

জামালপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া জানান, কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কিছু হয়নি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তদন্ত করে এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।