জামালপুরে হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

জামালপুর জেলা
জামালপুর জেলার ম্যাপ, Jamalpur district

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। আজ রোববার সকাল থেকে এই কর্মসূচি চলছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগী ও তার স্বজনেরা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

এদিকে কর্মবিরতি চলায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ ছাড়া জেলার সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে।

গত শুক্রবার বিকেলে ইকবালপুর এলাকার বাসিন্দা করিমন নেছা (৫৫) নামের এক নারীর চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে তাঁর স্বজনেরা জরুরি বিভাগ ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে মারধর করেন। এই ঘটনায় ওই দিন বিকেলে কয়েক দফায় চিকিৎসক ও স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্বজনেরা তাঁদের ওপর হামলা করলেও পুলিশ অন্যায়ভাবে চিকিৎসকদের লাঠিপেটা ও লাঞ্ছিত করেছে। একসঙ্গে আটজন চিকিৎসককে মারধর করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিমকে প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সকাল থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিব) ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) যৌথভাবে কর্মবিরতি পালন করছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরি বিভাগ ও অন্তর্বিভাগের সব সেবা চালু আছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অন্যায়ভাবে চিকিৎসকদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ন্যক্কারজনকভাবে চিকিৎসকদের মারধর করে থানায় আটকে রেখেছে পুলিশ।হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি করতে হবে। এসব দাবি না মানা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হল কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চিকিৎসক নেতা, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন। সেখানে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে থানায়। হামলাকারীদের মধ্য গতকাল রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।