জামিনে মুক্তি পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

কাজী জাহিদুর রহমান
সংগৃহীত

প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কারাগারে যাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

জাহিদুর রহমানের আইনজীবী নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের যৌথ বেঞ্চ এই জামিনের আদেশ দেন। পরে গতকাল সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

গত ১৭ জুন রাজশাহী শহরের সাগরপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী তাপস সাহা মতিহার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা করেন শিক্ষক জাহিদুরের বিরুদ্ধে। মামলায় মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলার পর ওই দিন রাতেই জাহিদুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শিক্ষক জাহিদুর রহমান নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের পদে ছিলেন। নাসিমকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে লেখার পর গত ১৬ জুন তাঁকে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

মোহাম্মদ নাসিম অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে গত ১ ও ২ জুন কাজী জাহিদুর রহমান ফেসবুকে লেখেন। এরপর ১৩ জুন নাসিমের মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে ফেসবুকে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করে সেদিনই গ্রেপ্তার হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজুম মুনিরা। এরপর ১৫ জুন কাজী জাহিদুর রহমানের লেখা সামনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এর এক দিন পরই মামলা হয় এবং ওই দিনই গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে গত ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় জাহিদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই আইনে গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন দেশের মানবাধিকারকর্মীরা।

আরও পড়ুন...

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার