‘জারের কষ্ট বড় কষ্ট বাহে, আল্লাহ তোমাক বাঁচে থুউক’

সৈয়দপুর কামারপুকুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম আলো ট্রাস্টের পাঠানো কম্বল বিতরণ করে সৈয়দপুর বন্ধুসভা। আজ মঙ্গলবার সকালে
প্রথম আলো

‘মুই হাটির পাওনা। জারের দিনে খুব কষ্ট করির নাগে। জারের কষ্ট বড় কষ্ট বাহে। আল্লাহ তোমাক বাঁচে থুউক। প্রথম আলোর ভালো হইবে বাপই।’ নীলফামারীর সৈয়দপুর বন্ধুসভার সদস্যদের কাছ থেকে প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া কম্বল উপহার পেয়ে এভাবেই কথাগুলো বললেন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ আবদুল আজিজ (৫৭)। তাঁর বাড়ি উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে।

আজ মঙ্গলবার সকালে কামারপুকুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে সৈয়দপুর বন্ধুসভা ২৫০ জন শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করে। প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া ওই কম্বল পেয়ে বেজায় খুশি আবদুল আজিজের মতো অন্যরাও। কম্বল নিতে এসেছিলেন উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত ধলাগাছ গ্রামের বৃদ্ধা জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘ছেঁড়া খ্যাতাত শুতি থাকি। একখান কম্বল কাহও দেয় না বাহে। প্রথম আলো পেরথম এখান কম্বল দিলে, আইজ নিন্দ পাড়ি শান্তি পাইম এনা।’

সৈয়দপুর কামারপুকুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম আলো ট্রাস্টের পাঠানো কম্বল বিতরণ করে সৈয়দপুর বন্ধুসভা। আজ মঙ্গলবার সকালে
প্রথম আলো

কম্বল বিতরণের জন্য দুই দিন ধরে ঘরে ঘরে গিয়ে স্লিপ বিলি করেন সৈয়দপুর বন্ধুসভার সদস্যরা। এতে অংশ নেন বন্ধুসভার সভাপতি ডালিম রায়, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, সদস্য রেশমা, নাজমা আকতার স্নিগ্ধা, জেসমিন আরা, শ্রাবণী চৌধুরী, জয়া সরকার, আহসান হাবিব, তাপস রায় প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কামারপুকুর কলেজের শিক্ষক আমিনুল হক মৃধা এবং প্রথম আলোর সৈয়দপুর প্রতিনিধি এম আর আলম।

কর্মসূচির শুরুতেই প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বক্তব্য দেওয়া হয়। পরে সমবেত শীতার্তদের মাস্ক পরিয়ে দেন বন্ধুরা। এরপর সবার হাতে তুলে দেওয়া একটি করে কম্বল।