জাহাজের নিচে ঢুকে যাচ্ছিল নৌকাটি, নদীতে লাফ যাত্রীদের
লকডাউন অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা কর্ণফুলী নদী পার হচ্ছিল। নৌকাটির ইঞ্জিন হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। এমন অবস্থায় স্রোতের টানে নোঙর করা জাহাজের নিচে ঢুকে যাচ্ছিল নৌকাটি। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রাণে বাঁচতে নৌকা থেকে নদীতে লাফ দেন কয়েকজন যাত্রী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ডাঙ্গারচর-সল্টগোলা ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য ছয় যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা হলেন মো. বেলাল, মো. আলমগীর, বন্দরের শ্রমিক রফিক, গ্যারেজের শ্রমিক মো. মুন্না। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাঙ্গারচর থেকে প্রায় ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা সকাল নয়টার দিকে সল্টগোলা অভিমুখে রওনা হয়। নৌকাটি মহেশখালের মুখে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এ সময় স্রোতের প্রবল টানে বন্দরের এমভিপি জেটি ও নোঙর করা জাহাজের নিচে ঢুকে যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে কয়েকজন যাত্রী নদীতে লাফ দেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া আলমগীরের ভাই মো. মামুন বলেন, ‘আমার ভাইকে লোকজন উদ্ধার করেছে। কিন্তু সে এখনো কোনো কথা বলতে পারছে না।’
জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য রত্না রানী দে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি সেখানে উপস্থিত হই এবং উদ্ধার হওয়া আহত ব্যক্তিদের দেখে আসি।’
ঘাটের ইজারাদার মো. ওসমান বলেন, হঠাৎ নৌকার পাখায় ময়লা লাগলে পাখাটি বন্ধ হয়ে গিয়ে নোঙর করা জাহাজের দিকে যাওয়ার সময় ছয়জন যাত্রী লাফ দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। লকডাউনে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট পারাপার সম্পর্কে তিনি বলেন, বন্দরের জরুরি শ্রমিকদের পারাপারের আদেশ থাকায় নৌকাটি চালানো হয়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, নৌকা বিকল হওয়ায় কয়েকজন যাত্রী নদীতে লাফ দিয়েছেন বলে শুনেছেন। অবশ্য পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।