জীবিত মনিরা জাতীয় পরিচয়পত্রে ৮ বছর ধরে ‘মৃত’

জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রতীকী ছবি

নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে বলা হয় দেওয়া যাবে না, ব্যাংক হিসাব খুলতে গেলে বলা হয় হবে না। আবার মুঠোফোনের সিম ওঠাতে গেলেও কাজ হয় না। এভাবে নানা নাগরিক সুবিধা থেকে আট বছর ধরে বঞ্চিত হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মনিরা খাতুন চৌধুরী (৬৩) নামের এক নারী। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের সংরক্ষিত তথ্যে তাঁকে ‘মৃত’ দেখানোর কারণে এ ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনি।

মনিরা খাতুন চৌধুরী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের আজগর আলীর স্ত্রী। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৬৭৩৬১০৫২৩২৯২৩৭৫। এই পরিচয়পত্রে তাঁকে মৃত দেখানো হচ্ছে ৮ বছর ধরে। এ বিষয়ে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে ভুল সংশোধনের আবেদন করেও গত চার মাসে কোনো সমাধান পাননি তিনি।

মনিরা খাতুন চৌধুরী অভিযোগ করেন, গত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে পারেননি। ভোটকেন্দ্রে গেলে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম খোঁজে পাওয়া যায় না। এ কারণে তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হয় না। ব্যাংক হিসাব খোলা, মুঠোফোনের সিম কেনাসহ নানা নাগরিক সেবা তিনি নিতে পারছেন না শুধু পরিচয়পত্রের ভুলের জন্য। তিনি বলেন, নানা ভোগান্তির পর তিনি গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাহুবল উপজেলা নির্বাচন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নির্বাচন অফিস তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে দেখতে পায়, এই পরিচয়পত্রের ডেটাবেইসে ২০১২ সাল থেকে তাঁকে মৃত দেখানো হচ্ছে।

বাহুবল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরউজ্জামান বলেন, ২০১২ সালে কোনো কারণে ভুলবশত ডেটাবেইসে মনিরা খাতুন চৌধুরীকে মৃত লেখা হয়েছে। সেই সময় যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা হয়তো ভুলটি করেছেন। এখন তাঁর কাছে আবেদন করেছেন মনিরা। তাঁর আবেদনটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে সংশোধনকাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।