জুতা খুলে প্রার্থীকে মারতে উদ্যত কর্মচারী, ভিডিও ফেসবুকে

জুতা খুলতে উদ্যত জমেলা বেগম
ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

বকশিশ না দেওয়ায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক (পিয়ন) জমেলা বেগমের হাতে লাঞ্ছিত ও অশোভন আচরণের শিকার হয়েছেন উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাজাহান আলী।

এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। এ সময় উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জমেলা বেগম তাঁর হাত থেকে মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে দুই হাজার টাকা বকশিশ দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে পারবেন না জানিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বলতে গেলে জমেলা বেগম সেখানে ঢুকে শাহজাহান আলী ও তাঁর সমর্থকদের ধাক্কা দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।

একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুস সালামের সামনেই জবেদা বেগম জুতা খুলে শাহজাহান আলীকে মারার চেষ্টা করেন। চিৎকার করে অশোভন আচরণ করেন। ঘটনার সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

শাহাজাহান আলী বলেন, ‘৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র তোলার দিন পিয়ন জবেদা বেগম আমার কাছে উৎকোচ দাবি করেন। আমি তাঁকে বুঝিয়ে মনোনয়নপত্র তুলে নিয়ে আসি। আজ জমা দিতে গেলে পুনরায় দুই হাজার টাকা দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি নির্বাচন অফিসারের সামনেই আমাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। পায়ের জুতা খুলে মারতে উদ্যত হয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

তবে জবেদা বেগম দাবি করেন, চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে আসা লোকজন তাঁর পিঠে হাত দিয়েছিল। তিনি শুধু সেটার প্রতিবাদ করেছেন, বকশিশ চাননি।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে একজন নারী অফিস সহায়ক যে আচরণ করেছেন, তা কাম্য নয়। তিনি নিজেই হতবাক হয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।