জুড়ীতে গরুচুরির চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে গরুচুরির চেষ্টাকালে সুলতান মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কুচাই ফাঁড়ি চা-বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতানের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আতুয়া বড়াইল গ্রামে। গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কচুরগুল গ্রামে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ ব্যাপারে জুড়ী থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানান। বেলা ১১টার দিকে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সুলতানের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগম সেখানে গিয়ে লাশটি তাঁর স্বামীর বলে শনাক্ত করেন। পরে লাশ নিয়ে পুলিশ থানায় চলে যায়। বেলা দুইটার দিকে সালমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। দুর্বৃত্তরা সুলতানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। সালমা বেগম বলেন, মাঝেমধ্যে তাঁর স্বামী কচুরগুলে শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকতেন।

এলাকাবাসী জানান, গরুচুরির উদ্দেশ্যে গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কুচাই বাগানের শ্রমিক মানিক লালের বাড়ির গোয়ালঘরে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে ‘চোর, চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ছুটে গিয়ে ধাওয়া করে ওই ব্যক্তিকে ধরে পিটুনি দেন। একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বাগানের সামনের জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কের পাশে তাঁকে ফেলে রেখে চলে যান।

স্থানীয় গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, আজ সকালে ঘুম থেকে জেগে তিনি খবর পান, কুচাই বাগানে গরুচুরির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পরে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবতী আজ দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত সুলতানের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য সুলতানের লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ওসি বলেন, গতকাল রাতে কুচাই বাগানে গরুচুরির চেষ্টাকালে কাউকে আটকের ব্যাপারে তাঁদের কেউ কিছু জানাননি। তবে সুলতান ‘চিহ্নিত গরু চোর’ ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।