জুড়ীতে টিলা কেটে অন্যের ফসলি জমি নষ্ট, জরিমানা

টিলা কাটা চলছেই। পাতিলাসাঙ্গন গ্রাম,  জুড়ী উপজেলা, মৌলভীবাজার, ২৯ অক্টোবর
ছবি: প্রথম আলো

বসতঘর নির্মাণের জন্য বেআইনিভাবে টিলা কাটা চলছে। বৃষ্টিতে টিলার মাটি ধুয়ে পাশে অবস্থিত অন্যের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। এ অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে টিলার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাতিলাসাঙ্গন গ্রামের বাসিন্দা শিপার আহমদ (৪৫) বসতঘর নির্মাণের জন্য কিছুদিন ধরে নিজেদের মালিকানাধীন প্রায় ১০ শতক আয়তনের ২০ ফুট উচ্চতার একটি টিলা কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে টিলার প্রায় তিন শতক জায়গা কাটা হয়ে গেছে। টিলার মাটি দিয়ে তিনি তাঁদের নিচু জমি ভরাট করছেন। টিলাটির পাশেই স্থানীয় এক নারীর ফসলি জমি রয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টিতে টিলার কাটা স্থান থেকে মাটি ধুয়ে ওই জমিতে পড়ে। এতে জমিতে বালুর স্তূপ জমে যায়। এ অবস্থায় জমির মালিক টিলা কাটার কাজ বন্ধ রাখতে টিলার মালিককে বলেন। কিন্তু টিলার মালিক তা মানেননি। পরে ভুক্তভোগী নারী গত বুধবার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও আল ইমরান রুহুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল গতকাল বেলা দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়টি টের পেয়ে টিলা কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা দ্রুত পালিয়ে যান। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় টিলার মালিক শিপারকে ওই জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। অভিযানের সময় অন্যান্যের মধ্যে জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুপ্রিয় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও আল ইমরান রুহুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে পাহাড় বা টিলার ক্ষতি হতে পারে, এ রকম কোনো স্থানের মাটি কাটা যাবে না বলে উল্লেখ করা রয়েছে। এ আইন লঙ্ঘন করে টিলা কাটা হচ্ছিল। তাই জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আশপাশে আগে কাটানো আরও কয়েকটি টিলা দেখা গেছে। এসব টিলা আর না কাটাতে মালিকদের ডেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।