জুয়া খেলার অপরাধে পুলিশের আট সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

আবাসিক হোটেলে জুয়া খেলার অপরাধে রাজশাহীতে পুলিশের আট সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশের পৃথক দাপ্তরিক আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করে তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। মাদক সেবনের সন্দেহে তাঁদের ডোপ টেস্ট করাও হবে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আটজনের মধ্যে মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ছয় সদস্য আছেন। তাঁরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল বারেক, মিজানুর রহমান, নায়েক আফজাল সরকার, কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন, আবদুস সালাম ও সাহেদ আলী। তাঁরা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকেই আবাসিক হোটেলে গিয়ে জুয়া খেলছিলেন তাঁরা। জুয়া খেলার অপরাধে জেলা পুলিশের দুই কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম ও বিপুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া হোটেল থেকে জেলা পুলিশের আবদুল  করিম নামের একজন বাবুর্চিকেও আটক করা হয়েছিল। তিনি অবসর-উত্তর ছুটিতে ( পিআরএলে) আছেন।

ওই পুলিশ সদস্যের বরখাস্তের দাপ্তরিক আদেশে বলা হয়েছে, এসব পুলিশ সদস্য বুধবার দিবাগত রাতে নগরের শেখপাড়া এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলের দোতলায় টাকা দিয়ে তাস দিয়ে জুয়া খেলছিলেন। খবর পেয়ে রাত ১টা ২২ মিনিটে বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা সেখানে যান। পরে তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে তাঁদের পুলিশি জিম্মায় নেওয়া হয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, এসব পুলিশ সদস্যের এমন কার্যকলাপ বিভাগীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও অসদাচরণের শামিল। তাই এসব পুলিশ সদস্যকে ৭ জানুয়ারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মাদকসেবন সন্দেহে তাঁদের ডোপ টেস্ট করানো হবে। একইভাবে জেলা পুলিশের মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জেলার দুই সদস্যকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।