জেলা কমিটি উপজেলা কমিটি ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা করতে পারে না

সংগঠনবহির্ভূত ও অরাজনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা কমিটি। তবে সংগঠনটির উপজেলা কমিটি বলছে, জেলা কমিটি কখনো উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করতে পারে না।
গত মঙ্গলবার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমানের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির গোয়ালন্দ উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন কমিটি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠিত হয়। এতে মো. ফরিদুল ইসলাম সভাপতি ও আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আসাদুজ্জামান উপজেলা পরিষদেরও ভাইস চেয়ারম্যান। এক বছর ধরে তিনি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও চিত্র ছড়ানো হয়। ২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায়, গোয়ালন্দের চৌধুরী মাহাবুব হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গভীর রাতে পুলিশি অভিযান। সেখানে গাঁজাসহ মাদক সেবনের আলামত দেখা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বিদ্যালয়টির নৈশপ্রহরীকে আটক করে। সেখানে আসাদুজ্জামানকেও দেখা যায়। গোয়ালন্দ ঘাট থানার তখনকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলামের ধারণ করা ওই ভিডিওতে তাঁকে হাত দিয়ে বারণ করতে দেখা যায়।

ওই ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হওয়ার পর আসাদুজ্জামান চৌধুরী সমালোচনার মুখে পড়েন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার তিনি ভিডিও বক্তব্য দেন। এতে তিনি বলেন, ‘১২-১৩ মাস আগে চৌধুরী মাহাবুব হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে কয়েক যুবক তাস খেলছিলেন। সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়। খবর পেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে সেখানে যাই। সে সময় ওসি রবিউল ইসলাম ভিডিও করতে থাকলে তাঁর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ ভিডিওটি মাদক সেবনের বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অথচ ভিডিওর কোথাও মাদক সেবনের কিছু দেখা যায়নি। একটি মহল রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে ভিডিওটি এডিট করে প্রচার করছে।’ এই বক্তব্য প্রচারের পরদিন মঙ্গলবার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, জেলা কমিটি কখনোই উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করতে পারে না। এ কারণে আমাদের কমিটি এখনো বহাল রয়েছে।’