গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে দুই দিনের সময় দেওয়া হয়। ওই কমিটিকে আরও পাঁচ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ে (সোমবারও) তদন্ত শেষ না হওয়ায় তদন্ত কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটিকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।
ডিসি এস এম তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তাঁর চিকিৎসায় কারও কোনো অবহেলা আছে কি না, মূলত তা খতিয়ে দেখতেই অভ্যন্তরীণভাবে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। এ ছাড়া তাঁর মৃত্যুতে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তার ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর চিকিৎসক–বিশেষজ্ঞরা জানাবেন।’
কারাগারের জেষ্ঠ্য সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ভেতরেই মুশতাক আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। ঢাকা মেট্রোপলিটনের রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২০২০ সালের ৬ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং পরে ২৪ আগস্ট থেকে তিনি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। শুক্রবার ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দুপুরে পুলিশ তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।