জোড়া খুনের ২১ বছর পর দুজনের মৃত্যুদণ্ড, ১৩ জনের যাবজ্জীবন

জোড়া খুনের মামলার রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে গুলি করে দুই ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু এই রায় দেন।

আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম প্রথম আলোকে রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন আবদুল হান্নান ওরফে যাত্রা মিয়া ও শামছুদ্দিন ওরফে শামছু মিয়া। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবদুল মান্নান, ইনু মিয়, রেনু মিয়া, হামদু মিয়া, আফজল মিয়া, জালাল উদ্দিন, আবদুল নূর, সবুজ মিয়া, বাবুল মিয়া, আলকাছ মিয়া, বাদল মিয়া, রহমত আলী ও মনু মিয়া। তাঁদের সবার বাড়ি জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তাহিরপুরের কামদেবপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০০০ সালে ১৮ মার্চ এক পক্ষের লোকজনের হাতে অন্য পক্ষের একজন মারধরের শিকার হন। পরদিন সকালে এ নিয়ে গ্রামে সালিস হওয়ার কথা ছিল। ওই সালিসে যাওয়ার সময় পথে প্রতিপক্ষের লোকজনের গুলিতে আরপান আলী ও মতিউর রহমান গুরুতর আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তাঁরা মারা যান। এ ঘটনায় তাঁদের আত্মীয় আতাউর রহমান ওই দিনই তাহিরপুর থানায় ২৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০১ সালের ৩১ মার্চ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ৯ জন আসামির মৃত্যু হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত রায় দেন। রায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁদের খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।