জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ২৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুল হককে আজ বুধবার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুল হকসহ বিএনপির ২৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জয়পুরহাট সদর থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। জয়পুরহাট শহরের বাটার মোড়সংলগ্ন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুল হকের বাসা ‘হক ভিলা’ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুল হকের বাসায় বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে তাঁদের অযথা হয়রানি করছে।

জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দুজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। কালাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ওই দুই নেতাসহ জেলা বিএনপি, কালাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির কয়েক নেতা-কর্মী শামছুল হকের বাসায় সমঝোতা বৈঠকে বসেছিলেন। ওই সময় পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল ওহাব, সদস্য আমিনুর রহমান, কালাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আনিছুর রহমান তালুকদার, সোহেল তালুকদারসহ বিএনপির ২৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আলমগীর জাহান প্রথম আলোকে বলেন, নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় বিএনপির ২৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখান থেকে নাশকতার কাজে ব্যবহারের জন্য জড়ো করা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলজার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে দেয় না। আবার বাসায় দলীয় নেতা-কর্মীরা বৈঠক করলে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। জেলা কালাই পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির দুই নেতা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। আজকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুল হক তাঁর বাসায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ওই দুই নেতাকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসেছিলেন। এ সময় পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ২৩ জন দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্রুত মুক্তির দাবি করছি।’