জয়পুরহাটে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটে শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় প্রায় ১৬ বছর আগে করা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক রোস্তম আলী এই রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম জহুরুল ইসলাম (৩৯)। তিনি জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বানাইচ আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এ মামলায় জামিনে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফিরোজা চৌধুরী প্রথম আলোকে রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়েছিল। আদালত অপহণের ঘটনায় একই আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ধর্ষণের ঘটনায়ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত। জরিমানা টাকা মামলার বাদীকে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১২ এপ্রিল বিকেলে ১২ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেন জহুরুল ইসলাম। সেই সময় জহুরুলের বয়স ছিল ২৩ বছর। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে ঘটনার দুই দিন পর ১৪ এপ্রিল ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আসামি গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে উচ্চ আদালত থেকে আসামি জামিন নেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। শুনানি শেষে আজ রোববার দুপুরে বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন।