জয়পুরহাটের দুর্ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের কমিটি গঠন

জয়পুরহাটে পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে আজ সকাল সাতটার দিকে ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ছবি: রবিউল ইসলাম

জয়পুরহাটে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় আজ শনিবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এর আগে সকালে এ দুর্ঘটনায় নিহত হন ১২। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

সকাল সাতটার দিকে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ক্রসিংটির গেট খোলা ছিল এবং সংশ্লিষ্ট গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে।

দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজা হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে বাঁধন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের ওই সংঘর্ষ হয়। জয়পুরহাট থেকে পাঁচবিবি যাচ্ছিল বাসটি। পথে বাসটি পুরানাপৈল রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনটিও সেখানে চলে আসে। এ দুর্ঘটনার পর রংপুর বিভাগের কয়েক জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে।

সকাল সাতটার দিকে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ক্রসিংটির গেট খোলা ছিল এবং সংশ্লিষ্ট গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন।

সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিরা সবাই বাসের যাত্রী ছিলেন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন বগুড়ায় নেওয়ার পথে মারা যান। হতাহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সালাম কবির আজ বলেন, বাস ও ট্রেনের সংঘর্ষের সময় রেলক্রসিংয়ের গেট খোলা ছিল। আর ঘুমিয়ে ছিলেন গেটম্যান।