ঝাঁকে ঝাঁকে গমবীজ খেতে এসে মারা গেল ১৯৩টি পোষা কবুতর

বিষ মেশানো গমবীজ খেয়ে মারা যাওয়া কবুতরগুলো বনপাড়া পৌরসভায় নিয়ে আসা হয়
প্রথম আলো

জমিতে বপন করা গমবীজ খেয়ে ১৯৩টি পোষা কবুতরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর বেড়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাখি ও ইঁদুরের আক্রমণ ঠেকাতে জমির মালিক বীজে বিষ মিশিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

বড়াইগ্রামের বনপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বনপাড়া পৌরসভার বেড়পাড়া এলাকার নবীর উদ্দিনের ছেলে আলম হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর জমিতে বিষ মেশানো গমের বীজ বপন করেন। শুক্রবার সকালে আশপাশের গ্রামের পোষা কবুতর ঝাঁকে ঝাঁকে ওই জমিতে বসে। কবুতরগুলো জমির বিষ মেশানো গমবীজ খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। দুপুর নাগাদ ওই জমির গমবীজ খেয়ে ১৯৩টি কবুতরের মৃত্যু হয়।

বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন বলেন, কালিকাপুর মহিষভাঙ্গা ও বেড়পাড়ার ইদ্রিস আলী, রকি রহমান, রতন আলী, মাহফুজ আলী, আহসান মোল্লা, মালেক মোল্লা ও টিপু হোসেন তাঁদের কবুতর মারা যাওয়ার খবর জানিয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। জমির মালিকের উচিত ছিল বিষ মেশানো বীজ বপনের পর তা পাহারা দেওয়া।

৩১টি কবুতরের মালিক ইদ্রিস আলী বলেন, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকাল আটটার দিকে কবুতরগুলো বাড়ি থেকে আকাশে উড়ে যায়। পরে লোকমুখে কবুতর মারা যাওয়ার খবর পান তিনি। ঘটনাটি বনপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রকে জানানো হয়েছে।

বনপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল বারেক জানান, বিষ মাখানো বীজ খেয়ে কবুতরের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। তিনি মনে করেন, এ ব্যাপারে জমির মালিককে সতর্ক থাকা উচিত ছিল।

পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলা নিয়ে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেন বনপাড়ার যশোধর প্রামাণিক। তিনি বলেন, বীজ বা খাদ্যে বিষ মেশানো অন্যায়। এসব বীজ বা খাদ্য খেয়ে পাখি বা যেকোনো প্রাণী মারা গেলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ।