ঝিনাইদহ সদরের ১৫ ইউপির ১০টিতে আ.লীগের বিদ্রোহীদের জয়
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি পাঁচটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।
ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. আবদুস ছালেক ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ১৫টি ইউপির মধ্যে ৫টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন।
রোববার সদর উপজেলার ১৭টি ইউপির মধ্যে ১৫টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আইনি জটিলতায় সুরাট ও পাগলাকানাই ইউনিয়নের নির্বাচন বন্ধ রয়েছে।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীরা হলেন সাধুহাটি ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী নাজির উদ্দিন (মোটরসাইকেল), মধুহাটীতে বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাফ হোসেন (মোটরসাইকেল), সাগান্নায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন শেখ (নৌকা), হলিধানীতে বিদ্রোহী প্রার্থী এনামুল হক (আনারস), কুমড়াবাড়িয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল করিম (মোটরসাইকেল), গান্নায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল হাসান (নৌকা), মহারাজপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী খুরশিদ আলম (চশমা), পোড়াহাটিতে আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম (নৌকা)।
উপজেলার হরিশংকরপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ (মোটরসাইকেল), পদ্মকরে বিদ্রোহী প্রার্থী বিকাশ কুমার বিশ্বাস (মোটরসাইকেল), দোগাছিতে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া (মোটরসাইকেল), ফুরসন্ধীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম সিকদার (নৌকা), ঘোরশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পারভেজ মাসুদ (নৌকা), কালীচরণপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন (আনারস) ও নলডাঙ্গা ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সাইফুল আলম (আনারস) জয়ী হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. আবদুস ছালেক বলেন, নির্বাচনে চেয়ারম্যানের ১৫টি পদে ৭২ জন, সাধারণ সদস্যের ১৩৫ পদে ৪৯৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫টি পদের বিপরীতে ১৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৫টি ইউনিয়নে মোট ১৪৮টি ভোটকেন্দ্র ছিল।