ঘুম থেকে চিরঘুমে মা ও দুই শিশুসন্তান

ভোলার চরফ্যাশনে ঝড়ে ঘর ধসে পড়ে এক মা ও তাঁর দুই শিশুসন্তান নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকচ্ছপিয়া গ্রামে এ ঝড় হয়। দিনভর বৃষ্টির পর রাতে আচমকা ঝড়ো বাতাসে ঘরটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় মৎস্যজীবী মো. হানিফ পাটোয়ারির স্ত্রী রিংকু বেগম (৩০) ও তাঁর ছেলে মো. জোনায়েদ হোসেন (৭) এবং মেয়ে তানজিদা আক্তার (৪)।

চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম সফিউল্যাহ ও দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা বলেন, গতকাল সারা দিন বৃষ্টি পড়েছে। হানিফ পাটোয়ারির বাড়ি উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নে। তিনি মাছের ব্যবসা ও কৃষিকাজ করতেন। মেঘনার ভাঙনে তাঁর ঘরবাড়ি ভেঙে গেলে তিনি চরকচ্ছপিয়া গ্রামে নতুন জমি কিনে বাড়ি করেন। হানিফ রাতে ঢালচরেই অবস্থান করছিলেন। বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী রিংকু বেগম ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত দেড়টার দিকে আকস্মিক ঝড় ওঠে। এতে হানিফের ঘর বিধ্বস্ত হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরচাপায় ঘটনাস্থলে হানিফের স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের মৃত্যু হয়। পুলিশ আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হানিফ নতুন ঘর তুলেছেন। কিন্তু ঘরটি অসমাপ্ত ছিল। নতুন ঘরের কাঠ ওপরে পাটাতনে রাখা ছিল। ঝড়টি অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ার কারণে কাঠসহ চাপা পড়ে নিহত হন তাঁরা।

এ ছাড়া ঝড়ে আশপাশের বেশ কিছু গাছপালা ভেঙে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। নিহত জোনায়েদ ও তানজিদ স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সরকারিভাবে সাহায্য দেওয়ার জন্য চাহিদা চাওয়া হয়েছে।