ঝড়ের কবলে লঞ্চ, অল্পের জন্য রক্ষা পেল দুই শতাধিক যাত্রী

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথের পদ্মা সেতু এলাকায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি নূর ই আয়শা নামের একটি লঞ্চ ঝড়ের কবলে পড়ে ডোবার উপক্রম হয়। চালক লঞ্চটি পার্শ্ববর্তী চরে ঠেকিয়ে কোনোমতে যাত্রী ও লঞ্চটি রক্ষা করেন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ লঞ্চটিতে ৮০ জন যাত্রী ছিল দাবি করলেও যাত্রীরা জানান, লঞ্চটিতে ২ শতাধিক যাত্রী রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাংলাবাজার লঞ্চঘাট থেকে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাশের চায়না চ্যানেল এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে পানি ঢুকে পড়ে লঞ্চটি ডোবার উপক্রম হয়। চালক লঞ্চটি কোনোমতে পাশের চরে ঠেকিয়ে দিলে যাত্রী ও লঞ্চটি বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পায়।

লঞ্চে থাকা যাত্রী মো. আবদুল আরাফাত আবদুল্লাহ বলেন, লঞ্চটি ভালোই চলছিল। পদ্মা সেতু এলাকায় এলে ঝড় শুরু হলে প্রবল ঢেউয়ে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে পানি ঢুকে পড়ে। এতে লঞ্চটি ডোবার উপক্রম হলে চালক লঞ্চটি পাশের চরে ঠেকিয়ে দেন। পরে লঞ্চে থাকা দুই শতাধিক যাত্রী চরে আটকা পড়ে।

লঞ্চের ইঞ্জিন মাস্টার মো. এলাহী জানান, হঠাৎ ঝড় শুরু হওয়ায় নদীতে ঢেউয়ের গতি বেড়ে যায়। এতে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে পানি ঢুকে পড়ে। তাই লঞ্চটি চরে ঠেকিয়ে রাখা হয়। যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বিআইডব্লিউটিএ মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে ফাঁকা দুটি লঞ্চ পাঠানো হয়। সব যাত্রী নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে।

বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে, লঞ্চটি রাত ৯টার দিকে উদ্ধার করা হয়। যাত্রীরাও নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। অল্পের জন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।