ঝড়ের ৮ দিন পরও বিদ্যুৎহীন ৩ গ্রামের ২ শতাধিক গ্রাহক

যাঁরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) গ্রাহক, তাঁরা সবাই ১৩ মার্চের ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করেও কাজ হচ্ছে না।

১৩ মার্চের ঝড়ে সরাইল উপজেলা পরিষদ চত্বরের গাছপালা উপড়ে যায়
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের তিনটি গ্রামের দুই শতাধিক গ্রাহক আট দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। ওই গ্রাহকেরা বলছেন, গ্রামগুলোতে দুই ধরনের বিদ্যুৎ–সংযোগ রয়েছে। যাঁরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) গ্রাহক, তাঁরা সবাই ১৩ মার্চের ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করেও কাজ হচ্ছে না।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় সরাইল সদর, কালীকচ্ছ, চুন্টা ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এতে বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বৈদ্যুতিক তারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝড়ের পর উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন সন্ধ্যার মধ্যে উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও ব্যতিক্রম কাটানিশার, মুড়াহাটি ও আঁখিতারা গ্রামে। এই তিন গ্রামের কিছু অংশে পল্লি বিদ্যুৎ ও বাকি অংশে বিউবোর গ্রাহক রয়েছেন। ঝড়ের পরদিন এসব গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ ঠিক করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিউবোর দুই শতাধিক গ্রাহক আজ পর্যন্ত অন্ধকারে রয়েছেন।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরী আঁখিতারা গ্রামের বাসিন্দা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এই তিন গ্রামে দুই ধরনের বিদ্যুৎ–সংযোগ থাকায় গ্রাহকেরা ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। এখানে একবার সমস্যা দেখা দিলে শিগগির সমাধান হয় না।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সরাইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সামির আসাদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তার সংকট রয়েছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশাবাদী।