টবের ফুল ছেঁড়ায় শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

শিশু নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় টব থেকে ফুল ছেঁড়ার জেরে শিশুকে আটকে রেখে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার কাটাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেদিনই থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ গত শনিবার মামলা নিয়েছে। তবে আজ রোববার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

ওই শিশুর নাম তাওহীদুল ইসলাম (৮)। সে কাটাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে। তাওহীদুল রহিমাবাদ ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনায় রাতেই শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ আসামিদের থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাওহীদুলকে আটকে রাখার কথা স্বীকার করলেও পুলিশ মামলা নিতে টালবাহানা করে।
আবদুল ওহাব, শিশু তাওহীদুলের বাবা

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামের সেনাপল্লি মসজিদের সামনে তাওহীদুল খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী মো. মোস্তফা (১৯) তাকে ধরে বাসায় নিয়ে কক্ষে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন। এরপর তাকে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এ কাজে মোস্তফাকে তাঁর মা সখিনা বেগম ও বোন কুলসুম আকতার সহযোগিতা করেন। রাতে বাড়ি না ফেরায় তাওহীদুলকে খোঁজা শুরু করেন তার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে ওই বাসায় গিয়ে মা–বাবা তাওহীদুলকে উদ্ধার করেন। এ সময় তাওহীদুল ফুঁপিয়ে কাঁদছিল।

আবদুল ওহাব বলেন, ওই ঘটনায় রাতেই শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ আসামিদের থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাওহীদুলকে আটকে রাখার কথা স্বীকার করলেও পুলিশ মামলা নিতে টালবাহানা করে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মোস্তফার মুঠোফোনে কল করা হলে সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক আমবার হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাস দেড়েক আগে তাওহীদুল প্রতিবেশী মোস্তফাদের বাসার ছাদের টবে থাকা ফুল ছিঁড়ে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ বাধে। এর জেরে মঙ্গলবার শিশুটিকে জোর করে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।