টাকাভর্তি খামে লেখা ছিল সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে টাকা পাওয়ার অভিযোগে দুজন এজেন্টকে কারাদণ্ড ও এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছেন। আজ রোববার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলার দুটি ইউপির ভোট গ্রহণ চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথকভাবে এ সাজা দেন।
কারাদণ্ড পাওয়া দুজন হলেন আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমানের এজেন্ট হাবিবুল বাশার (৩৮) ও বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নের পোলিং মহসিন মিয়া (৩৫)। হাবিবুলকে ছয় মাসের ও মহসিনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আখাউড়ায় বহিষ্কার হওয়া সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অশোক কুমার চক্রবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ কেন্দ্রে অভিযান চালান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া মার্কা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুর রহমানের এজেন্ট হাবিবুল বাশার ১৭ হাজার টাকার একটি খাম ও ২টি মুঠোফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। সন্দেহ হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সঙ্গে থাকা মুঠোফোনের বিষয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কিছু বলেননি। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে ২টি মুঠোফোন ও ১৭ হাজার টাকার একটি খাম পাওয়া যায়। ওই খামের ওপর ফোন নম্বরসহ কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অশোক কুমার চক্রবর্তীর নাম লেখা ছিল।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট মহসিনকে আটক করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মহসিনের কাছে থেকে ১টি মুঠোফোন ও ৩৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন মহসিনকে।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচনী আচরণবিধির ৩০ ধারায় মহসিনকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।