টাকার বিনিময়ে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির প্রার্থী: একাংশের সংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া নিয়ে দলটির একাংশের সংবাদ সম্মেলন। শনিবার দুপুরে বেলকুচি মডেল ডিগ্রি কলেজের চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী আলতাফ হোসেন প্রামাণিক টাকার বিনিময়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন বলে দাবি করেছেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলা হয়।

দুপুরে বেলকুচি মডেল ডিগ্রি কলেজের চত্বরে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল ও সাবেক সদস্যসচিব আবদুল মান্নান সরকার।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব বনি আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ৬ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। আলতাফ হোসেন কেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারলেন না এবং কেন তিনি আপিল করলেন না, তার কারণ জানতে চাওয়া হবে। আজ যাঁরা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সে বিষয়েও আলোচনা হবে, জবাব চাওয়া হবে।

মনোনয়নপত্রে আমার একটি মামলার তথ্য ভুলক্রমে উল্লেখ করা ছিল না। পরে নানা চাপ থাকায় আপিল করতে পারিনি।
আলতাফ হোসেন প্রামাণিক, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির এক নেতার মাধ্যমে আলতাফ হোসেন প্রামাণিক মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পান। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলেও আলতাফ হোসেন প্রামাণিক আপিল করেননি। এটিও পূর্বপরিকল্পিত। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। বেলকুচিতে বিএনপির রাজনীতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এসব ব্যাপারে আলতাফ হোসেন প্রামাণিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্রে আমার একটি মামলার তথ্য ভুলক্রমে উল্লেখ করা ছিল না। পরে নানা চাপ থাকায় আপিল করতে পারিনি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করীম, হাফিজুর রহমান ও হেলাল উদ্দিন প্রামাণিক, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হাসন, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।