টাঙ্গাইলে অপহরণের পর শিশুকে হত্যায় দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শিশু মাসুদ রানাকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে দুজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দুজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে তাদের কারাগারে নেওয়া হয়
প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক শিশুকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে দুজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অপর ২ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় দেন। রায়ে বিচারক আমৃত্যু কারাদণ্ড বলতে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাভোগের কথা বলেছেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮) ও গোপালপুর উপজেলার কামাক্ষাবাড়ি গ্রামের গৌতম চন্দ্র আর্য্য (৩৮)। ১০ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার নিয়ামতপুর কাজিপুর গ্রামের মো. হাসান আলী (২৪) এবং ভূঞাপুর উপজেলার রুহুলী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. সোহেল (২৫)।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) শাহানশাহ সিদ্দিকী বলেন, ভূঞাপুর উপজেলার রুহুলী গ্রামের মাজেদা বেগমের নাতি মাসুদ রানা ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। পরে মাসুদ রানার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী দণ্ডিত জাহাঙ্গীর অন্য আসামিদের সহায়তায় শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে আসামিরা মাসুদ রানার নানির কাছে মুঠোফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শিশুটিকে তাঁরা হত্যা করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর শিশুটির নানি মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ মুঠোফোনের সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গৌতম, হাসান ও সোহেল আদালতে শিশুটিকে অপহরণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শিশু মাসুদ রানার কঙ্কাল মধুপুরের টেংরী গ্রাম থেকে উদ্ধার করে।