টাঙ্গাইলে নির্বাচনী সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় দুটি মামলা, গ্রেপ্তার ৮

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত খলিলের স্বজনদের আহাজারি
প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে খলিল (৩৫) নামের একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার গোপালপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

নিহত খলিলের বাবা নছিম উদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল রাতে এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম হীরা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এই মামলার আসামি বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির, শেখ ফরিদ, রাজু আহমেদ, আল আমিন, ফরিদ, সাহেব আলী, সেলিম মিয়া ও মঞ্জুর হক।

বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার গিয়াজ উদ্দিন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর বাসা থেকে আটজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

নিহত খলিলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় একজনের প্রাণহানির ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে
প্রথম আলো

গতকাল সন্ধ্যায় গোপালপুর বাজারের কাছে আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা বিদ্রোহী প্রার্থীর বাসা ঘেরাও করেন। এই খবর বিদ্রোহী প্রার্থীর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরে আসার সময় তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক খলিল নিহত হন।

১৪ ফেব্রুয়ারি গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হক ছানা। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার গিয়াস উদ্দিন। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।