টাঙ্গাইলে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস পালিত

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

‘নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, বাঁচাও বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে পালিত হয়েছে ৪৬তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস। দিবসটির অংশ হিসেবে আজ সোমবার মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বেলা ১১ টায় মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাধারণ গ্রন্থাগারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ এস.আই খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সৈয়দ ইরফানুল বারী, হারুন-অর-রশিদ। মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আল রুহি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় সন্তোষে ন্যাপ ভাসানী ও ভাসানী পরিষদের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দোয়া করা হয়। এ সময় ন্যাপ ভাসানী ও খোদা-ই-খেদমতগারের সভাপতি হাসরত খান ভাসানী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, ভাসানী পরিষদের সাবেক সভাপতি ইকবাল বাহার, কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জিন্নাহসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফারাক্কা বাঁধের ফলে নদীর নাব্যতা হারানোর আশঙ্কায় ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান থেকে লাখো জনতার সেই লংমার্চ রওনা হয় ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে। লংমার্চ শেষে কানসাট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন মজলুম জননেতা। সেই থেকে ১৬ মে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস নামে পরিচিতি লাভ করে।