টাঙ্গাইলে শ্রমিক লীগ নেতাকে কোপানোর প্রতিবাদে সমাবেশ

শ্রমিক লীগ নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহরে
ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলে জেলা শ্রমিক নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে সমাবেশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশ থেকে হামলার জন্য সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁদের অনুসারীদের দায়ী করা হয়।

গত রোববার রাতে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম (৩৮)। হামলাকারীরা তাঁর হাত, পা, মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তিনি এখন সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। টাঙ্গাইল শহর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও রেজাউলের বন্ধু সেলিম সিকদার আজ সন্ধ্যায় বলেন, রেজাউল জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।

রেজাউলের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বিকেলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের উদ্যোগে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে সমাবেশ করা হয়। এতে বক্তব্য দেন শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ, শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান, সদর থানা যুবলীগের সভাপতি আবু সাইম তালুকদার, শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সিকদার মানিক প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা এই হামলার জন্য সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর সহযোগীদের দায়ী করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আমানুর ও তাঁর ভাইয়েরা ২০১৪ সালে টাঙ্গাইল থেকে বিতাড়িত হন। আমানুর জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে আবার টাঙ্গাইলে অপতৎপরতা শুরু করেছেন। বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করছেন। তাঁদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবেই রেজাউলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পরে শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

হামলার শিকার রেজাউল শহরের দেওলা এলাকার মো. আজাদ আলমগীরের ছেলে। শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার আগে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। দলীয় নেতা–কর্মীরা বলছেন, ২০১৪ সালে ফারুক আহমেদ হত্যার বিচারের দাবিতে আমানুর ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়, সেখানে রেজাউল সক্রিয় ছিলেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, তাঁরা বর্তমানে রেজাউলের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই এখনো মামলা করা হয়নি।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, রেজাউলের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রেজাউলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনো মামলা করতে আসেননি।

আরও পড়ুন