টাঙ্গাইলে সাবেক মেয়র সহিদুরের জামিন আবেদন আবার নামঞ্জুর

আদালত
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খানের জামিন আবেদন আবার নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বে থাকা দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাউদ হাসান এ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। সহিদুর সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ভাই।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মনিরুল ইসলাম খান বলেন, গত ২ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের পর আদালত সহিদুরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী আবদুল বাকি মঙ্গলবার ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করেন। তাঁরা যেকোনো শর্তে সহিদুরের জামিন মঞ্জুরের দাবি জানান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ছয়বার সহিদুরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলো বলে মনিরুল ইসলাম খান জানান।

সহিদুর সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ভাই। গত ২ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের পর আদালত সহিদুরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিছুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাই তৎকালীন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। তারপর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান।

তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ এই মামলায় আমানুর, তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ছয় বছরেরও বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পর সহিদুর গত বছরের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।