টানেল হলে চট্টগ্রাম হবে সাংহাইর মতো ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’: কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের দৃশ্য বদলে যাবে। এ টানেলের নির্মাণ শেষে চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রাম হবে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। কাজ শেষ হলে নদীর ওপারে গড়ে উঠবে আরেক চট্টগ্রাম।

দেশের রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার সকালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিএনপিকে নেতিবাচক রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনী রাজনীতিতে তাদের এ অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।’ তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক উপনির্বাচন এবং সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে, এটা রাজনীতির জন্য শুভ সংবাদ। বিএনপির ইতিবাচক সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। সংসদীয় রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।’

বিএনপিকে নেতিবাচক রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘আশা করি নির্বাচনী রাজনীতিতে বিএনপির এ অংশগ্রহণ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী চ্যানেলের উদ্বোধন করেন। আমি আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, এরই মধ্যে নদীর তলদেশ দিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি টিউবের মধ্যে একটির খনন ও রিং স্থাপন কাজ শেষ হয়েছে। আরেকটি টিউবের খননকাজ আমরা আশা করছি নভেম্বর মাসে শুরু করা যাবে।’ তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানেলের সার্বিক কাজের অগ্রগতি শতকরা ৫৮ ভাগ। করোনা মহামারির শুরু থেকে অর্থাৎ মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে অগ্রগতি হয় শতকরা ৫ ভাগ।

কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ হলে চিরচেনা চট্টগ্রামের দৃশ্য বদলে যাবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই টানেল নির্মাণ শেষে চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রাম হবে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। তিনি বলেন, টানেলের কাজ শেষ হলে নদী, পাহাড় আর সাগর মোহনায় চট্টগ্রাম পাবে নবরূপ। নদীর ওপারে গড়ে উঠবে আরেক চট্টগ্রাম। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আবাসন ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হবে।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, চীনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। তাই এ প্রকল্পে চীনের প্রায় ৩০০ জনবল কর্মরত। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে এর খননকাজ। প্রতিদিন অতিরিক্ত কাজ করে পিছিয়ে পড়া কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি প্রকল্পে কর্মরত লোকজনের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সেতুসচিব মো. বেলায়েত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ফেরদৌস প্রমুখ।