টিকাদান অনুষ্ঠান থেকে চিকিৎসক, নার্স, সাংবাদিকের মুঠোফোন চুরি

নরসিংদীর প্রবীণ সাংবাদিক নিবারণ রায়কে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে জেলায় করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। আজ রোববার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীতে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিন ব্যক্তির মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের সামনে এসব মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটে। প্রায় একই সময়ে একই স্থান থেকে তিনটি মুঠোফোন চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ আমীরুল হক শামীম, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নরসিংদী প্রতিনিধি সুজন বর্মণ ও হাসপাতালটির নার্সিং সুপারভাইজার মোকারিমা খাতুনের মুঠোফোন চুরি গেছে। তাঁরা তিনজনই ওই অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী জেলায় টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ও সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম।

অতিথিরা মঞ্চে যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে যখন ফিতা কেটে ওই টিকাদান কেন্দ্র উদ্বোধন করছিলেন, এই এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই তিনটি মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক স্থানীয় সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্য। এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতির পরও একের পর এক মুঠোফোন চুরির ঘটনা বিস্ময়কর বলছেন উপস্থিত লোকজন।

সৈয়দ আমীরুল হক বলেন, অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ওই সময় এক সহকর্মীর হাতে তাঁর স্যামসাং জে ৭ মডেলের মুঠোফোনটি দিয়ে অনুষ্ঠানের কিছু ছবি তুলতে বলেন। কিছুক্ষণ পরই এর চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় মুঠোফোনটি পকেটে রেখে নিজের মুঠোফোনে ছবি তুলছিলেন ওই সহকর্মী। এরই মধ্যে কেউ একজন তাঁর পকেট থেকে মুঠোফোনটি চুরি করে নিয়ে যায়।

সাংবাদিক সুজন বর্মণ বলেন, মঞ্চে বক্তব্য দেওয়া শেষে ফিতা কেটে টিকাদান কেন্দ্রটির উদ্বোধন করা হচ্ছিল। তখন তিনি ক্যামেরা নিয়ে ওই ফিতা কাটার দৃশ্য ধারণ করছিলেন। তখনই পকেট থেকে আইফোন ১১ মডেলের মুঠোফোনটি চুরি হয়ে যায়। পরে তা সঙ্গে সঙ্গে ‘সুইচড অফ’ করে দেওয়া হয়।

নার্স মোকারিমা খাতুন বলেন, অনুষ্ঠানে বক্তারা যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন এক এক করে তিনি ছবি তুলছিলেন। কখন কীভাবে যে মুঠোফোনটি চুরি হয়ে গেল, তা টেরই পাননি। অনুষ্ঠান শেষে জামার পকেটে হাত দিয়ে তিনি বুঝতে পারেন ফোনটি নেই।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে মুঠোফোন চুরি হয়েছে, এমন কোনো অভিযোগ আমি এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যাঁদের মুঠোফোন চুরি গেছে, তাঁদের থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার অনুরোধ জানান তিনি।