টিকার নিবন্ধন করাতে গিয়ে জানতে পারলেন তাঁরা মৃত

জাতীয় পরিচয়পত্র
ফাইল ছবি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দুজন বাসিন্দা স্বাস্থ্য বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করাতে গিয়ে জানতে পারলেন তাঁরা মৃত। এ ঘটনায় দুজন হতবাক হয়ে যান। কীভাবে মৃতের তালিকায় তাঁদের নাম উঠল, তা বুঝতে পারছেন না। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর কেউ কেউ ওই দুজনের সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরাও করছেন।

ওই দুই ব্যক্তি হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্বল্প চরপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. মোফাজ্জল হোসেন ও উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর টানপাড়া মলামারি গ্রামের মৃত আবু ছাঈদের ছেলে মো. শিপন মিয়া।

আজ রোববার দুপুরে এ বিষয়ে মুঠোফোনে শিপন মিয়া বলেন, ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেয়েছিলেন। আগে কখনো তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি। ভোটের সময় পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকলেও কেউ সেটি দেখতে চাননি। সম্প্রতি করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করতে স্থানীয় কম্পিউটার কম্পোজ ও অনলাইন সেবার দোকানে যান। নিবন্ধন করার সময় তিনি জানতে পারেন, তিনি আর জীবিত নেই। মৃতের তালিকায় আছে তাঁর নাম।

অন্যদিকে মোফাজ্জল হোসেন ২০১৩ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পান। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন পড়ার মতো কাজ তিনিও আগে করেননি। সম্প্রতি তিনিও টিকার নিবন্ধন করাতে গিয়ে নিজেকে মৃত বলে জানতে পারেন।

দুজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামবাসীর পরামর্শে তাঁরা দুজন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে বলা হয়, পরিচয়পত্রের কোনো রকম সংশোধন ঢাকার নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ছাড়া সম্ভব নয়। এ কথা জানার পর তাঁরা এখন কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলাকে বলেন, তাঁদের দ্রুত আবেদন করতে বলুন। আবেদনটি যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সে জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, বিগত সময়ে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়ার সময় হয়তো করণিক কিছু ভুল হয়েছিল। এসব ভুল দ্রুত সংশোধনের সুযোগ আছে।