টিলা কাটা সহজ, কিন্তু আরেকটি তৈরি করতে পারবেন না

অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। সোমবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে
ছবি: প্রথম আলো

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, টিলা কাটা সহজ কিন্তু হাজার-কোটি টাকা খরচ করেও আরেকটি টিলা তৈরি করতে পারবেন না।

আজ সোমবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে টিলা, বন-বাদাড়ের কারণে পর্যটকেরা বেড়াতে আসেন। টিলা ধ্বংস করে ফেললে পর্যটকদের আর আকর্ষণ থাকবে না। অনেক সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা টিলা কাটার বিরুদ্ধে অভিযানে গেলে বাধার শিকার হন। এটা মোটেই কাম্য নয়। টিলা কাটা বন্ধ করুন, অভিযানে সহযোগিতা করুন।’

কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ। সোমবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে
ছবি: প্রথম আলো

বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান রুহুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কয়েক জন কিষান-কিষানির হাতে ধানের বীজের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এ সময় মন্ত্রী বলেন, হাইব্রিড ধানের বীজে অন্য ধানের চেয়ে দ্বিগুণ ফসল উৎপাদন হবে।

অনলাইন বক্তৃতায় মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, বাড়িঘর, হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা হওয়ায় জমির পরিমাণ দিন দিন কমছে। যেটুকু আছে, তা কাজে লাগাতে হবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেট অঞ্চলের মানুষ কৃষিকাজে পর্যাপ্ত সময় দেন না। সরকার বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ দিচ্ছে। জমিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলাকে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জুড়ীর লাঠিটিলা বনে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। তিনি জুড়ী নদীর পুনঃখননকাজ যাতে সঠিকভাবে ও দ্রুত হয়, তা তদারকিসহ নদীর জমি দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা ও ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন এলাকার কিষান-কিষানি উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এসব ধানবীজ বিতরণ করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় জুড়ীর বিভিন্ন এলাকায় ৩ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ৬ মেট্রিক টন বীজ বিতরণ করা হবে।