টুঙ্গিপাড়ায় চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টানা দুদিন কর্মবিরতি চলার পর আজ সোমবার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) গোপালগঞ্জ জেলা শাখা নতুন করে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করা হবে।

বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এম মঈনউদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, চিকিৎসক লাঞ্ছিত করার ঘটনায় করা মামলার মূল আসামি কাজী তরিকুলকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট চলবে।

দুদিনের কর্মবিরতির কারণে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বজনেরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনে ও প্রধান ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন জরুরি সেবা নিতে আসা ৩০-৪০ জন রোগী। তাঁদের মধ্যে আজগর আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অনেক অসুস্থ। গতকাল এসেছিলাম, দুপুর পর্যন্ত থেকে কোনো টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছি। আজ এসে দেখি একই অবস্থা। তাহলে আমরা এখন যাব কোথায়?’ তাঁর মতো অনেকেই চিকিৎসা নিতে এসে দুর্ভোগে পড়েছেন।

করোনা সংক্রমিত হয়ে ৪ জুলাই স্থানীয় বাসিন্দা কাজী আলমগীরের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন তাঁর স্বজনেরা। এ সময় নার্সদের ওপর চড়াও হন তাঁরা। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই টুঙ্গিপাড়া থানায় অভিযুক্ত কাজী তরিকুলের নাম উল্লেখসহ চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।