টুঙ্গিপাড়ায় নারীকে পিটিয়ে আহত ও বাড়িঘর ভাঙচুর

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় জমি দখল করতে এক নারীকে পিটিয়ে আহত ও তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত নারীর নাম বিনা আক্তার (৪৫)। তিনি একই গ্রামের মৃত সুলতান ফকিরের মেয়ে। তিনি বর্তমানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

বিনা আক্তারের ভাই উজ্জ্বল ফকির বলেন, ‘আজ সকালে বাড়ির জায়গা দখল করতে ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কবির তালুকদারের নির্দেশে জাহাঙ্গীর, তাঁর ছেলে প্রিন্স, বাবু, মিরাজ, মাসুম তালুকদারসহ প্রায় ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় আমার ভাই আরাফাত ও বোন বিনা আক্তার বাধা দিলে তাঁদের পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।’

উজ্জ্বল ফকির আরও বলেন, ‘আমরা ৫০ বছর ধরে ঝনঝনিয়া মৌজার এসএ ৮১৩ ও বিআরএস ২০৫৫ দাগে বসবাস করে আসছি। আমার দাদার মোট ২১ শতাংশ জমির পাঁচজন অংশীদার। সেই হিসাবে আমার চাচাতো ভাই সাঈদ ফকির ৪ দশমিক ২০ শতাংশ জমির মালিক। কিন্তু সে ২০১৯ সালে অন্য শরিকদের না জানিয়ে গ্রামের আতিয়ার শেখ নামের এক ব্যক্তির কাছে ২১ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেয়। জমিতে অন্য শরিকের অংশ আছে জেনে আতিয়ার গ্রামের প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর তালুকদারের কাছে ২১ শতাংশ বিক্রি করে। এ নিয়ে বিরোধের জেরে এই হামলা চালানো হয়েছে।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিনা আক্তার বলেন, ‘জায়গা দখল করতে ভাঙচুর করার সময় আমি ও আমার ভাই বাধা দিলে জাহাঙ্গীর এবং তাঁর ছেলেসহ অনেকে আমাদের মারধর করে। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এর আগেও আমাদের মারধর করায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ফল হয়নি। তাই এবার আমরা আদালতে মামলা করব।’

অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর তালুকদার বলেন, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়নি। তা ছাড়া বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ডুমুরিয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান কবির তালুকদার বলেন, ‘এ রকম কোনো নির্দেশ আমি দেইনি। মূলত সম্পত্তির পাঁচজন মালিক, সবাই জায়গা মাপামাপি করতে যান। তখন বিনা ও তাঁর ভাইয়েরা বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। কিন্তু কাউকে মারধর করা হয়নি।’

টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তন্ময় মণ্ডল বলেন, মারামারি বা ভাঙচুরের বিষয়ে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।