টেকনাফ থেকে দুই দিনে ১ হাজার ৩৩৭ রোহিঙ্গাকে উখিয়ার ক্যাম্পে স্থানান্তর

রোহিঙ্গা ক্যাম্প
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে আজ বৃহস্পতিবার আবারও ১৪১টি পরিবারের ৬৬৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার ১৪৪টি পরিবারের ৬৭০ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়ার ২০ নম্বর শরণার্থীশিবিরে স্থানান্তর করা হয়। আজ পরিবারগুলোকে নেওয়া হয়েছে কুতুপালং ও বালুখালী শরণার্থীশিবিরে।

এ নিয়ে দুই দিনে ২৮৫টি পরিবারের ১ হাজার ৩৩৭ রোহিঙ্গা নাগরিককে কুতুপালং ও বালুখালী শরণার্থীশিবিরে স্থানান্তর করা হলো। এ শিবিরে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। বিষয়টি বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পটি খালি করে রোহিঙ্গাদের উখিয়াসহ অন্য ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) পুলক কান্তি চক্রবর্তী আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের নির্দেশনায় শামলাপুরে এ শিবির খালি করে রোহিঙ্গাদের উখিয়ার বিভিন্ন শিবিরে নেওয়া হচ্ছে। গত দুই দিনে এ শিবির থেকে ২৮৫টি পরিবারের ১ হাজার ৩৩৭ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন ব্লক থেকে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শিবিরে যেতে ইচ্ছুক এমন ১৪১টি পরিবারের ৬৬৭ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে বৃহস্পতিবার স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের (আরআরআরসি) মাধ্যমে এ স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ৯টি বাস ও ১০টি ট্রাকে করে রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শিবিরে আরও ১৪১ পরিবারের ৬৬৭ জন রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ শিবিরে বসবাসরত সব রোহিঙ্গা নাগরিককে বিভিন্ন শিবিরে হস্তান্তর করা হবে। বুধবার প্রথম দফায় ৬৭০ রোহিঙ্গাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবিরের রোহিঙ্গা দলনেতা মোজাহার মিয়া বলেন, এ রোহিঙ্গা শিবির থেকে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। এ শিবিরের রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করে বাহারছড়ার পাহাড়ের পাদদেশে পালিয়ে থাকছে। পাশাপাশি বিভিন্ন নৌকায় শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছেন। এতে করে এলাকায় অপরাধ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই রোহিঙ্গাদের শিবিরের মধ্যে রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।