টেকনাফে তাবলিগের ১১ মুসল্লি কোয়ারেন্টিনে

নারায়ণগঞ্জ থেকে কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরত আসা তাবলিগ জামাতের ১১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। বেশির ভাগই ছাত্র।

সোমবার রাতে এলাকায় ফেরার পর মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার ইনানী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ১১ জনকে নেওয়া হয়। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী।

ইউএনও বলেন, যেহেতু করোনা সংক্রমণ এলাকা হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস্টার (এলাকা) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাই ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ১১ জনকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে সে অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সুস্থভাবে কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাবেন।

ইউএনও আরও বলেন, এটাই প্রথম উখিয়ার ইনানী এলাকায় স্থাপিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে কাউকে রাখা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার রাতে একটি পিকআপ ভ্যানে করে তাবলিগ জামাতের ১১ জন মুসল্লি নারায়ণগঞ্জ থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হন। পথে চকরিয়া এলাকায় পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের উখিয়ার ইনানী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়।

মুসল্লিদের বরাত দিয়ে ইউএনও জানান, তাঁরা নারায়ণগঞ্জে থেকে তাবলিগ জামাত শেষে এলাকায় ফিরছিলেন। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে টেকনাফ থেকে কিছু ছাত্রসহ তাবলিগ জামাতের একটি দল বের হয়েছিল।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে এ পর্যন্ত ৪৯২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৪২৩ জন কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন। বাকি ৬৯ জন এখনো কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া বলেন, কক্সবাজারে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কারও শরীরে করোনা পাওয়া যায়নি। এর আগে ২৪ মার্চ ঢাকায় আইইডিসিআর ল্যাবে সৌদিফেরত এক নারীর করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। তিনি চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।