টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন, পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই

কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া মোচনি রোহিঙ্গা শিবিরে রাতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে
প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ শতাধিক ঝুপড়ি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় নিহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাঁদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শিবিরের ই ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

আগুন লাগার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, এপিবিএন, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকেরা নিরাপত্তাবেষ্টনীতে নিয়োজিত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা মুকুল কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে কেউ বলছেন গ্যাসের চুলা থেকে, আবার কেউ বলছেন লাকড়ির চুলা থেকে, আবার কারও মতে সিগারেটের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত। শিবিরের ৪৮টি শেডের (প্রতিটি শেডে ৮টি করে পরিবার) ও ১৩০টি ঝুপড়ি ঘরসহ ৫১৪টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে এবং প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের কাজ চলছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া মোচনি রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ শতাধিক ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে
প্রথম আলো

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুর দৌজা নয়ন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাবারের পাশাপাশি আপাতত লার্নিং সেন্টারগুলোয় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরবর্তী সময়ে অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে।