টেকনাফে ৩ রোহিঙ্গা যুবককে পুলিশে দিলেন স্থানীয় জনতা

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিনজন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে এই সড়কের হ্নীলার চৌধুরীপাড়াসংলগ্ন পিকনিক পার্কের সামনে থেকে ধাওয়া করে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক তিনজন হলেন শামসুল আলমের ছেলে আবদুর রহিম (১৮), মোহাম্মদ নুরের ছেলে নুর কাদের (১৭) ও খলিল আহমদের ছেলে হাফেজ আহমদ (১৮)। এই তিনজন উপজেলার হ্নীলার নয়াপাড়া মোচনী রোহিঙ্গা শিবিরের এইচ ব্লকের বাসিন্দা। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়াসংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও অটোরিকশায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল ব্যক্তি। স্থানীয় লোকজন সন্দেহভাজন সাতজনকে ধাওয়া করেন। এ সময় তিনজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আর চারজন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলীকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে যান। খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের তিনজনকে সোপর্দ করা হয়।

আটক তিনজন রোহিঙ্গা বলেন, তাঁরা সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যাঁরা পালিয়ে গেছেন, তাঁদের হাতে ছুরি, লম্বা কিরিস ও লোহার রড ছিল। ধরা পড়া তিনজনকে সহযোগী হিসেবে কাজ করার কথা বলে রোহিঙ্গা শিবির থেকে আনা হয়। আটক তিনজন সড়কের বিভিন্ন পরিবহনে ডাকাতি করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেন।

হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, তিন রোহিঙ্গাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল রানা এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।