ট্রাকে চালের বস্তার ভেতরে ফেনসিডিল

দিনাজপুর জেলার মানচিত্র

ট্রাকের মধ্যে চালের বস্তা। ট্রাক যাচ্ছে ঢাকায়। চালভর্তি ৪টি বস্তায় বিশেষ কায়দায় রাখা আছে ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের বোতল। এ খবর ছিল পুলিশের কাছে। পরে তল্লাশি অভিযানে ট্রাকটিকে আটক করে পুলিশ। পালিয়ে যান ট্রাকচালক। তবে আটক হন চালকের সহকারী। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ট্রাকচালক, চালকের সহকারী ও ট্রাকমালিকের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান আইনে মামলা করেছে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কানাগাড়ি বাজার এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে ঘোড়াঘাট থানা-পুলিশ। ঢাকাগামী চালবোঝাই একটি ট্রাক সেখানে এলে থামানোর সংকেত দেয় পুলিশ। এ সময় ওই ট্রাক থামিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান ট্রাকের চালক। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে চালকের পেছনে সিটের নিচে থেকে দুটি বস্তায় ৪০০ বোতল এবং কেবিনের ওপর বিশেষ কায়দায় রাখা অপর দুটি বস্তায় ৪০০ বোতলসহ মোট ৮০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে চালকের পেছনে সিটের নিচে থেকে দুটি বস্তায় ৪০০ বোতল এবং কেবিনের ওপর বিশেষ কায়দায় রাখা অপর দুটি বস্তায় ৪০০ বোতলসহ মোট ৮০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

এ সময় চালকের সহকারী দিলদার আলী ওরফে মোক্তাদুর রহমানকে (৩৬) আটক করা হয়। তিনি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার অপর দুই আসামি হলেন চিরিরবন্দর উপজেলার মাজাপাড়া গ্রামের পলাতক ট্রাকচালক রানা মিয়া (৩২) এবং ট্রাকের মালিক দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার খোয়ারপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান (৩৪)।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। চালবোঝাই ট্রাকের মধ্যে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা ৮০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালকের সহকারী স্বীকার করেছেন, তাঁরা এই ফেনসিডিল ‘হোলসেল’ (পাইকারি) বিক্রি করেন। ট্রাকমালিক ও চালক দীর্ঘদিন ধরে চোরাই পথে ভারত থেকে মাদক কৌশলে ধান, চাল, ভুট্টার পরিবহনের আড়ালে এনে তা দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন। চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।