টয়লেট থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, মা আটক

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ টয়লেট থেকে নূর-হাওয়া নামে চার মাস বয়সের একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ধুমাইটারী তেঁতুলতলা এলাকার নুরুল ইসলামের টয়লেট থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশুটির মা তানজি বেগমকে (৩৮) আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ধুমাইটারী তেঁতুলতলা এলাকার নুরুল ইসলামের পারিবারিক টয়লেট থেকে শিশু নূর-হাওয়ার লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। রোববার রাত সাড়ে নয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।

লিশ ও স্থানীয়রা জানান, তানজি বেগম ধুমাইটারী তেঁতুলতলা এলাকার নুরুল ইসলামের তৃতীয় স্ত্রী। নূর-হাওয়া তাঁদের একমাত্র সন্তান। নুরুল ইসলামের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই। তাই তিনি কয়েক বছর আগে তানজি বেগমকে বিয়ে করেন। নুরুল ইসলামের প্ররোচনায় তানজি বেগম প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে ফাঁসাতে গিয়ে শনিবার রাতে নিজের সন্তানকে হত্যা করে লাশ টয়লেটে রেখে দেন। পরে শিশু নূর-হাওয়া নিখোঁজ বলে প্রচারণা চালান তানজি বেগম। রোববার সন্ধ্যায় টয়লেট থেকে শিশু নূর-হাওয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সুন্দরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক শাহানাজ পারভীন ও মোজাম্মেল হক পৃথকভাবে জানান, শনিবার শিশু নূর-হাওয়া নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাপক তল্লাশি চালানোর পর নুরুল ইসলামের বাড়ির টয়লেট থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানজি বেগম সন্তানকে হত্যা করে লাশ টয়লেটে রেখে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।