ঠাকুরগাঁওয়ে এক দিনে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১০ শতাংশ

করোনার সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি পালনে অনেক মানুষ উদাসীন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়িহাট এলাকায়।
ফাইল ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ে এক দিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণের হার বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জেলার তিনজন বাসিন্দা মারা গেছেন।

আজ সোমবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার এ তথ্য জানান।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত জেলায় সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। এ বিধিনিষেধ পঞ্চম দিনে পড়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ কিছুতেই কমছে না। এরপরও জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানায় উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৭ জুন কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর দিন ১৫০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ৪২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ১৮ জুন ৩০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শনাক্ত হয় ১১ জন। শনাক্তের হার ছিলে ৩৬ দশমিক ৬৬। ১৯ জুন শনাক্তের হার কমলেও বেড়ে যায় শনাক্তের সংখ্যা। ওই দিন ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয় ৫৬ জন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব, ঠাকুরগাঁওয়ের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা ও সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা হাসপাতাল থেকে পাওয়া অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ঠাকুরগাঁওয়ে ১৬৯টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন করে করোনায় ৭৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৮ জন, বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈলে ১১ জন করে, পীরগঞ্জে ৬ ও হরিপুরে ১ জন রোগী আছেন। এ সময়ে করোনায় সংক্রমিত ঠাকুরগাঁওয়ের তিন বাসিন্দা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলার ৭৯ ও ৫০ বছর বয়সী পুরুষ এবং বালিয়াডাঙ্গীর বাসিন্দা ৫২ বছর বয়সী এক পুরুষ রয়েছেন।

সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, জেলায় করোনা শনাক্ত প্রতিদিনই বাড়ছে। কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলা ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে না। শুধু চিকিৎসাসেবা দিয়ে করোনার বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় নেই।