দলীয় ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করতে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে সরকার

ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে
প্রথম আলো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হলো। দুঃখজনকভাবে সত্য যে, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাদের দায়দায়িত্ব নেই, কোথাও জবাবদিহি নেই। শুধু দলীয় ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। সব মিলিয়ে সরকার দমনমূলক আচরণ করছে।

ঢাকায় ফেরার আগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা, সেটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ টাকা। কেরোসিনের দাম ছিল ৭০ টাকা, সেটি করা হয়েছে ৮৫ টাকা। এলপি গ্যাসের দাম ছিল ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা, সেটিকে করা হয়েছে ৫৯ টাকা ৯০ পয়সা। গতকাল বুধবার রাতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাবে, প্রকৃত আয় কমে যাবে। যেটা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দেখছি, একদিকে চাল, ডাল, লবণ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ, তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, সে সময় আবার এই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে। আর পরিবহন খরচ বাড়লেই প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের দাম আরও বেড়ে যাবে। অন্যদিকে  বিদ্যুতের দাম প্রতিবছর দুই-তিনবার বেড়ে বেড়ে এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, সাধারণ ভোক্তাদের জন্য অসহনীয় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে আমরা মনে করি, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাবে, প্রকৃত আয় কমে যাবে। যেটা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকায় গিয়ে কী কর্মসূচি নেওয়া যায় তা আলোচনা করা হবে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ধরনের কর্মসূচিতে আমরা সমর্থন জানাব।’

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নুর করিম, নুর ই শাহাদৎ, আবু তাহের, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনানসহ বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।