ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তের নাগর নদে গরু ব্যবসায়ীর লাশ

প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তের নাগর নদ থেকে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ওই গরু ব্যবসায়ী বিএসএফের ছোড়া পাথরের আঘাতে মারা গেছেন।

ওই গরু ব্যবসায়ীর নাম আবদুল হক ওরফে আদু মিয়া (৩৫)। তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার জুগিহার গ্রামের এজাবুল হকের ছেলে। আজ বুধবার দুপুরে তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হকসহ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে গরু আনতে রত্নাই সীমান্তের ৩৮৩ নম্বর মেইন পিলারের ২ নম্বর সাব পিলার এলাকার লোহার সেতুর নিচ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৭১ সোনামতি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকেন। বিএসএফের হাত থেকে রক্ষা পেতে গরু ব্যবসায়ীরা নাগর নদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সে সময় অন্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এলেও আবদুল হক নিখোঁজ হন।

গতকাল সন্ধ্যায় রত্নাই সীমান্তের ৩৮১ নম্বর পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকার নাগর নদে আবদুল হকের লাশ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। আবদুল হকের ছোট ভাই জয়নাল আলীর দাবি, তাঁর ভাইকে পাথর মেরে হত্যা করেছে বিএসএফ।

সীমান্তে উদ্ধার আবদুল হকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর কারণ কী, ময়নাতদন্তের পর তা জানা যাবে।
হাসিবুল হক প্রধান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বালিয়াডাঙ্গী থানা

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শহিদুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বুধবার সকালে পতাকা বেঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে গরু ব্যবসায়ীদের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএসএফ।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসিবুল হক প্রধান বলেন, সীমান্তে উদ্ধার আবদুল হকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর কারণ কী, ময়নাতদন্তের পর তা জানা যাবে।