ডাকাতি ছেড়ে দেওয়া যুবক গুলিতে নিহত

লাশ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বৃহস্পতিবার গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতি ছেড়ে দেওয়ার জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত যুবকের নাম আবদুস শুক্কুর (৩৫)। তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার আবুল বশরের ছেলে।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানায়, আবদুস শুক্কুর একসময় জকিরের ডাকাত দলের সঙ্গে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে শুক্কুর দল ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন।

আবদুস শুক্কুরের চাচা আবুল হাশিম বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের পাশের পাহাড় থেকে সন্ত্রাসী দলের সদস্য জকির ও ধইল্যার নেতৃত্বে ৭-৮ জন শুক্কুরকে ধরে নিতে আসেন। তাঁদের দেখে দোকানে বসে থাকা শুক্কুর পাশেই তাঁর (আবুল হাশিম) বাড়িতে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা ধাওয়া করে বাড়ি থেকে শুক্কুরকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে শালবাগানের মসজিদের পাশের একটি দোকানের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে শুক্কুরকে হত্যা করা হয়। এরপর আতঙ্ক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানায়, আবদুস শুক্কুর একসময় জকিরের ডাকাত দলের সঙ্গে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে শুক্কুর দল ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার জকিরের আস্তানায় অভিযান চালায়। শুক্কুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য সরবরাহ করছে বলে জকিরের সন্দেহ হয়। এ কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।