ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ

কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শাহপরান মিয়া (১২) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে উপজেলার জয়নগর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শাহপরান লালমাই উপজেলার বেতাগা গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। সে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পারিবারিক সূত্রে জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিল শাহপরান মিয়া। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস মেলেনি। এ অবস্থায় শনিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা শাহপরানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে এলাকায় মাইকিং করান। বিকেল চারটার দিকে জয়নগর পশ্চিমপাড়া এলাকার এক কৃষক ডাকাতিয়া নদীর নির্জন স্থানে এক শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান কুমিল্লার সদর দক্ষিণ সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল ও লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব। এরপর পরিবারের সদস্যরা সেখানে এসে লাশটি শাহপরানের বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, শাহপরানের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কুমিল্লার সদস্যরা সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর তাঁরা লাশের সুরতহালে অংশ নেন। একই সঙ্গে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠান। আগামীকাল রোববার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে লাশের ময়নাতদন্ত হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।

এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। শাহপরান নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা থানায় জিডি করেননি। তাঁরা মাইকিং করেছেন। ১২ বছরের ছেলের প্রতি কার বা কাদের এত আক্রোশ, আমরা ও পিবিআই সেটা খুঁজে বের করব।
মোহাম্মদ আইয়ুব, ওসি, লালমাই থানা

এ বিষয়ে লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। শাহপরান নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেননি। তাঁরা মাইকিং করেছেন। ১২ বছরের ছেলের প্রতি কার বা কাদের এত আক্রোশ, আমরা ও পিবিআই সেটা খুঁজে বের করব।’


শাহপরানের বাবা আবদুল মালেক বলেন, ‘কারা ওকে হত্যা করল, কী কারণে করল, তা আমরা জানি না। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’