ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার নয়, বাতিলের দাবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবিতে সিলেটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে
প্রথম আলো

সংস্কার নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানিয়ে সিলেটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, ‘অনেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু এই আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এমন কিছু ধারা ও উপধারা আছে। এটিকে সংস্কার করেও কোনোভাবে রাখা সম্ভব নয়। কারণ, এ আইনের আদ্যোপান্তই নিপীড়নমূলক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাই আমরা এই কালো আইন বাতিল চাই।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার, শ্রমিকনেতা রুহুল আমিনের মুক্তিসহ ছাত্রনেতাদের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিলেট সিটি পয়েন্টে নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলার নেতা নিরঞ্জন দাস খোকনের সভাপতিত্বে ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) সিলেট জেলার নেতা মোখলেছুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক আবু জাফর, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সিলেট জেলার সদস্য হ‌ুমায়ূন রশিদ সোয়েব, বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. নাবিল হোসেন বক্তব্য দেন।

অনেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এমন কিছু ধারা ও উপধারা আছে। এটিকে সংস্কার করেও কোনোভাবে রাখা সম্ভব নয়।
সিলেটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে বক্তারা

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার সমালোচনায় ভয় পায়। সরকার ভয় পায়, যদি নাগরিকদের কথা বের হতে থাকে, তাহলে ক্ষমতায় থেকে গুন্ডাদের নিয়ে লুণ্ঠন করা আর সম্ভব হবে না। এই ভয়ে সরকার সব ধরনের কথা বলার অধিকারকে হরণ করতে চায়। লেখক মুশতাকের মতো মানুষদের জেলে আটকে রাখে। কিন্তু অন্যদিকে খুনের আসামি জামিন পেয়ে যাচ্ছে। যারা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে তারা জামিন পেয়ে নীরবে দেশ ছাড়ছে। তবে কথা বলার জন্য একজনকে আটক করা হলে তাঁকে জামিন দেওয়া হয় না। কারাগারেই তাঁর মৃত্যু হয়। লেখক মুশতাকের মৃত্যুর দায় অবশ্যই এই সরকারকে নিতে হবে।