ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রুহুল আমিন দুই দিনের রিমান্ডে

রুহুল আমিন

খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তাঁকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ওই আদালতের বিচারক সারওয়ার আহমেদ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে রুহুল আমিনকে খুলনা নগরের গোয়ালখালী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদাপোশাকের পুলিশ। গতকাল দুপুরের দিকে কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন রুহুল আমিন। তিনি মুশতাক আহমেদের সঙ্গে গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের খুলনার বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেই বাসা থেকেই তাঁকে আটক করে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

আদালত থেকে বের করে নিয়ে আসার সময় ছবি তুলতে চাইলে এ প্রতিবেদককে ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি। ছবি তোলার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোশারেফ হোসেন। তিনি বলেন, আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রুহুল আমিনকে এখন রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

রাতে রুহুল আমিনের সঙ্গে আটক করা হয় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সংগঠক নিয়াজ মুর্শিদকে। তবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ সকালের দিকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১০টার দিকে ডিবি ও কেএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি দল যৌথভাবে ওই বাসায় অভিযান চালায়। ওই সময় রুহুল আমিনসহ তাঁরা কয়েকজন শ্রমিক রাজনীতি প্রসঙ্গে একটি অনলাইন লাইভ প্রোগ্রামে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিয়াজ মুর্শিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে আটক রাখা হয়। ওই সময়ই তাঁরা জানতে পেরেছিলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।

জানতে চাইলে কেএমপির ডিবি পুলিশের উপকমিশনার বি এম নুরুজ্জামান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট, সামাজিক অস্থিরতা তৈরিসহ অন্যান্য কারণে রাতেই রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ডিবির এক পরিদর্শক ওই মামলার বাদী হয়েছেন।